গোপালপুর উত্তর হুকমতটোলার গঙ্গা ভাঙন পরিদর্শনে এলেন DYFI এর জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব
মানিকচক : দীর্ঘ 20- 25দিন ধরে চলছে মানিকচক ব্লকেরhttps://www.facebook.com/profile.php?id=100082805632507 গোপালপুর অঞ্চলের উত্তর হুকমতটোলায় গঙ্গার ভাঙন।ইতিমধ্যে গঙ্গা প্রস্থে প্রায় 500 মিটার গোপালপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে নিজ সাম্রাজ্যের অধীনস্থ করেছে,ফলে শত শত বিঘা জমি গোপালপুরের মানচিত্র থেকে বাদ হয়ে জল গঙ্গা সাম্রাজ্যের অন্তর্গত হয়েছে। এইমুহুর্তে বাঁধ থেকে নদীর দূরত্ব থেকে কোথাও 50মিটার,কোথাও 100 মিটার, কোথাও 200 মিটার ,আবার কোথাও 500মিটার।
ইতিমধ্যে উত্তর হুকমতটোলার বাঁধ সংলগ্ন পরিবার গুলি তাদের বাড়ি ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন, অনেকের জমি কেনার সামর্থ্য নেই বলে এখনও তারা বাঁধের ধারেই রয়েছেন।
আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তারা। 9অক্টোবর বিকেল 4টায় নদীর ধারে পৌঁছে যান DYFI এর জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব। নদীর রুদ্রমূর্তি দেখে সেখানেই আন্দোলনের সূচনা করেন DYFI এর নেতা-নেত্রীগণ। এদিন DYFI এর রাজ্য কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সরোজ দাস বলেন , "তৃণমূলের রাজত্বে শুধু লুট চলছে। লুটে পুটে তারা তাদের বাড়ি একতলা থেকে দোতলা করছেন।সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম কোনো পঞ্চায়েত সদস্য বা প্রধান এখনও পর্যন্ত মুখ দেখাতে আসেননি। মানিকচক, কলিয়াচক বা মুর্শিদাবাদের নদী ভাঙ্গন সমস্যা নতুন নয়,কিন্তু এর সমস্যা সমাধানের জন্য পঞ্চায়েত বা সরকারের যা ভূমিকা থাকা দরকার,সেটা তারা পালন করছেন না। অতিশীঘ্রই নদীর পাড় বোল্ডার দিয়ে গোপালপুরকে সংরক্ষণ করতে হবে। ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সাধারণ মানুষকে।এর জন্য আমাদের DYFI পঞ্চায়েত যাবে,প্রয়োজনে জেলা শাসকের কাছে এক কথায় কাজ হাসিল করার জন্য যা যা করা দরকার DYFI তা তা করবে।
জেলা DYFI সম্পাদক অরূপ পোদ্দার ও জেলা DYFI সদস্যা মধুরিমা ঘোষ স্থানীয় অসহায় পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের জন্য দাবিগুলি আদায়ের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে কথা দেন।
উত্তর হুকমতটোলাসহ্ পুরো গোপালপুরের অবস্থা খুব খারাপ।এমন কি গোপালপুরের বালুটোলা ও বর্তমানে রেড জোনে রয়েছে।
উত্তর হুকমতটোলা, ঈশ্বরটোলার ও দক্ষিণ হুকমতটোলার যারা নতুন বাঁধের বাইরে রয়েছেন তারা চরম বিপদের মধ্যে রয়েছেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন